রাজ্যের সরকারি আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক ও অশিক্ষকের কত শূন্যপদ আছে, তা জানতে চেয়েছিল মাদ্রাসা দপ্তর।
WBMSC Recruitment 2025 – রাজ্যের সরকারি আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক ও অশিক্ষকের কত শূন্যপদ আছে, তা জানতে চেয়েছিল মাদ্রাসা দপ্তর। মাদ্রাসা শিক্ষা ডিরেক্টরেট থেকে মাদ্রাসাগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শূন্যপদের সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের পদ কত খালি আছে, তা জানানোর জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যম্ত। শিক্ষক ও অশিক্ষক পদের কতগুলি খালি আছে, তা যথাক্রমে ৫ মার্চ ও ১০ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, নির্ধারিত সময়সীমা পেরনোর পর যে রিপোর্ট মাদ্রাসাগুলি থেকে এসেছে, তাতে শিক্ষক ও অশিক্ষকের মোট শূন্যপদ ১৪ হাজারের কাছাকাছি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য সরকারি তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে খবর। মাদ্রাসা ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া অ্যবাহত আছে। বেশ কয়েক বছর পর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নিয়েছিল সম্প্রতি। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এখন চলছে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলি। এই দফায় দেড় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ডিরেক্টরেট থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, শূন্যপদের সংখ্যা জানানোর ব্যাপারে কিছু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনিচ্ছা রয়েছে। অবসর গ্রহণ, বদলি, মৃত্যু, চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রভৃতি কারণে অনেক পদ শূন্য হচ্ছে। কিন্ত সেই তথ্য প্রতিষ্ঠানগুলি ঠিকমতো জানাচ্ছে না। তাই মাদ্রাসা দপ্তর এবার তারিখ নির্দিষ্ট করে চিঠি পাঠিয়েছে বলে খবর।
রাজ্যে সরকারি অনুদানে চলা মাদ্রাসার সংখ্যা ৬০০-র কিছু বেশি। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এখানে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ হয়। কয়েক বছর আগে একটি মামলার রায়ে কলকাতা মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলায় নিয়োগে জটিলতা তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে মামলাটি চলে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেওয়ার পর আবার সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেই নিয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু টানা কয়েক বছর ধরে নিয়োগ কার্যত বন্ধ থাকায় শূন্যপদ অনেক বেড়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগে ওবিসি সংক্রান্ত যে জটিলতা হয়েছে, তা এক্ষেত্রে নেই। কারণ, সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার জন্য মাদ্রাসার চাকরিতে কোনও জাতিগত সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই। ফলে এখানে সব পদই সাধারণ বা অসংরক্ষিত হয়। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা হলে ওবিসি সংরক্ষণের বিষয় থাকবে না। ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন, ওবিসি সংরক্ষণজনিত আইনগত জটিলতা কাটলে সরকারি জায়গায় নিয়োগের জন্য উদ্যোগী হবে সরকার। তবে মাদ্রাসায় নিয়োগের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বিবেচ্য নয়।
Sources : বর্তমান পত্রিকা
বিঃদ্রঃ– এখানকার সমস্ত তথ্যগুলো কেবলমাত্র ছাত্র – ছাত্রীদের কাজের উদ্দেশ্য। bongochakri.com শুধুমাত্র বিভিন্ন সরকারি চাকরি,সরকারি প্রকল্প, স্কুল-কলেজের খবর ইত্যাদি বিষয়ে আপডেট দেওয়ার জন্যই তৈরি করা। এই পোর্টাল টি কোন নিয়োগ সংস্থা নয় এবং নিয়োগ পরিচালনা কখনোই করে না। আমরা সারা ভারত জুড়ে খবর সংগ্রহ করে Published করে থাকি এই পটালে । bongochakri.com সর্বদা চেষ্টা করে নির্ভুল আপডেট প্রকাশ করার তবুও আমাদের অবচেতন মনে যদি কোন ভুল হয়ে যায় যেমন (পদের নাম, শূন্যপদের সংখ্যা, আবেদন করার লাস্ট তারিখ ইত্যাদি) বিষয়ে ভুলের জন্য আমরা দায়ী নই। |